ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আর এ আলোচনায় উপস্থিত থাকার আগ্রহ দেখিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
গত রোববার (১১ই মে) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। আর ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এ প্রস্তাব মেনে নিতে বললে জেলেনস্কি তাতে রাজি হন।
তবে জেলেনস্কি শর্ত দেন যে, আলোচনায় পুতিনকেও উপস্থিত থাকতে হবে। এরপর গতকাল সোমবার (১২ই মে) আকস্মিকভাবে ট্রাম্প নিজেও এ আলোচনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরুর আগে বলেছেন, ‘আমার অনেক মিটিং আছে, কিন্তু আমি আসলে সেখানে (ইস্তাম্বুলে) উড়ে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। এটা সম্ভব হতে পারে, যদি আমি মনে করি কিছু ঘটতে পারে। আমাদের এটা শেষ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তুরস্কে কী হয়, তা ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ইউরোপ থেকে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে নতুন কূটনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ সংঘাতের সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া ট্রাম্পের প্রস্তাবের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেনে ‘যুদ্ধবিরতির জন্য ভবিষ্যতের পথ’ নিয়ে আলোচনা করেন। এই আলোচনায় ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা, জার্মানি ও পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ই মে) যদি পুতিন ও জেলেনস্কি দেখা করেন, তবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর এটি হবে তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এদিকে, ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়াকে জানিয়েছে, সোমবার থেকে নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। তবে ক্রেমলিন বলেছে, তাদের সঙ্গে আল্টিমেটামের সুরে কথা বলা যাবে না।
এ চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেনকে স্থায়ী নিরপেক্ষতা মেনে নিতে হবে। আর এর বিনিময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং আমেরিকা থেকে দেশটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাবে বলে রয়টার্সের পর্যালোচনায় জানা যায়।
আরএইচ/
ডোনাল্ড ট্রাম্প ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
খবরটি শেয়ার করুন