শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাবলিগে গিয়ে যেভাবে বদলে গিয়েছিলো মাওলানা তারিক জামিলের জীবন

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১১ অপরাহ্ন, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

দাওয়াত ও তাবলিগের জীবন্ত কিংবদন্তি মাওলানা তারিক জামিল। পাকিস্তানি এই আলেমকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। দাওয়াতের কাজকে আম ও তাম করার জন্য তিনি তার গোটা জীবন ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন ইসলামের নামে। বিশ্বব্যাপী সকলেই তাকে কমবেশি আমরা চিনি। তার পরিচয় জানি- তিনি একজন মওলানা। কিন্তু তার শুরুর জীবন কিন্তু এমন ছিল না। তিনিও আধুনিক থেকে বেড়ে উঠেছেন।

পাকিস্তানে ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাদৃত মাওলানা তারিক জামিল। ধর্মপ্রাণ, ইসলামি অঙ্গনের মানুষের কাছে যেমন বরণীয়, ঠিক তার তেমনি প্রভাব রয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটার, অভিনয় শিল্পী, সেলিব্রিটিদের মাঝে। এমনকি দেশটির রাজনৈতিক নেতারাও তার বয়ানে প্রভাবিত।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন ইমরান খানের সরকারি বাস ভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বয়ান ও দোয়া পরিচালনা করেছিলেন মাওলানা তারিক জামিল। 

বর্তমানে ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসেবে বরণীয় হলেও জীবনের শুরুর দিকে মাওলানা তারিক জামিল ছিলেন আর দশজন সাধারণ যুবকের মতো, খেলাধুলা, আনন্দ-উৎসব, সিনেমা-মুভি দেখা তার কাছে ছিল সাধারণ বিষয়।

তিনি ছিলেন একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। দাওয়াতে তাবলিগের সংর্স্পশে বদলে যায় তার জীবন। হয়ে উঠেন আধ্যাত্মিক রাহবার। দেশ ছড়িয়ে বিশ্বময় তিনি এখন মুসলিম যুবকদের আদর্শ-অনুকরণীয় ব্যক্তি। 

আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান

মেডিকেলে পড়াশোনার সময়েই পরিবর্তন আসে তার জীবনে। এ সময় এক বন্ধুর মাধ্যমে তাবলিগের সংস্পর্শে আসেন তিনি৷ এরপর ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটে তার জীবনে।

মাওলানা তারিক জামিল নিজেই তার জীবনের পরিবর্তনের গল্প বলেছেন, ‘আমি দীনি পরিবেশে বেড়ে উঠিনি, জুনাইদ জামশেদের মতো আমিও একসময় গান গাইতাম, সিনেমা দেখতাম।’

‘আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড  তাবলিগ করতো। সে আমাকে এক প্রকার জোর করেই তিন দিনের জন্য তাবলিগে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই মূলত আমার মনে হলো ডাক্তার নয়; আমাকে তাবলিগ করতে হবে। মানুষের কাছে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। এই বোধদয়ের পর তাবলিগ থেকে ফিরেই আমি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে যাই।’

১৯৭১ সালে মেডিকেল কলেজ ছেড়ে তিনি লাহোরের জামিয়া আরাবিয়া, রায়বেন্ডে পড়াশোনা করতে চান। কিন্তু তার বাবা ছেলের ডাক্তারি জীবন ছেড়ে ধর্মীয় শিক্ষার বিরোধিতা করেন। একারণে তখন তিনি জামিয়া রশিদিয়া শাহীওয়ালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তার বাবা ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টি মেনে নিয়ে তাকে রায়বেন্ড মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। এখানেই তিনি কুরআন, হাদিস, ফিকহ, শরিয়া,তাসাউফে বুৎপত্তি অর্জন করেন৷

এসকে/ 

পাকিস্তান তাবলিগ মাওলানা তারিক জামিল

খবরটি শেয়ার করুন