ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকরা। ফলে তাদের ব্যবসা শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এবার ব্যবসা বন্ধের শঙ্কায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ই ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (এটিএইচআরওএ) নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরার বেশিরভাগ হোটেল ও রেস্তোরাঁর ব্যবসার প্রধান গ্রাহক বাংলাদেশি পর্যটকরা। এমনিতেই ভারতের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পর্যটক আসার সংখ্যা তলানিতে নেমেছে। মেডিকেলসহ অন্যান্য ভিসায় যারা ত্রিপুরায় আসছিলেন এটিএইচআরওএ-এর নিষেধাজ্ঞার ফলে তারাও আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ত্রিপুরার বেশিরভাগ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে।
অমিত দে নামের এক হোটেল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের হোটেল মালিক সেপ্টেম্বর মাস থেকে আমাদের বেতন দিতে পারেন না। আগে হোটেলে পর্যটক জায়গা দিতে পারতাম না, এখন সপ্তাহে দুজনকেও পাওয়া যায় না। সিংহভাগ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। এটিএইচআরওএ ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। আশা করি, খুব দ্রুত দুদেশের সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এটিএইচআরওএ বলেছে, ত্রিপুরায় বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে কোনো ধরনের দুর্ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি। জাতীয় সংবেদনশীলতা ও আতিথেয়তার নীতির মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে আমাদের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করা হয়েছে। আমরা মেডিকেল ভিসাধারী বাংলাদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাবো ও ত্রিপুরায় তাদের যথাযথ আবাসনসহ সেবা নিশ্চিত করবো।
এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নিপীড়ন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা-ভাঙচুর ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। সেদিনই বাংলাদেশি নাগরিকদের ত্রিপুরার কোনো হোটেল ও রেস্তোরাঁয় জায়গা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেয় এটিএইচআরওএ।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন