ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বেশির ভাগ শুল্ক অবৈধ এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ শুল্ক আরোপ করেছেন। আমেরিকার একটি আপিল আদালত ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে এমনই রায় দিয়েছেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন। খবর দ্য হিন্দুর।
আর আদালতে জমা দেওয়া সে নথিতে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়েছে, এ শুল্কই ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ভারতের ওপরেও শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাখিল করা নথিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (১৯৭৭) অনুযায়ী শুল্ক আরোপের অনুমোদন দিয়েছেন। রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য কেনায় ভারতের ওপর এ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে চলমান জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আমাদের একটি অপরিহার্য অংশ।’
অর্থাৎ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে ভারতকে একটি ফ্যাক্টর হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখানে তাদের সহায়ক হয়েছে রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি।
আমেরিকার দাবি, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধের রসদ জোগাচ্ছে। তাই রাশিয়াকে থামাতে হলে আগে ভারতকে রুশ তেল কেনা থেকে বিরত রাখতে হবে। আর এ জন্য আলোচনা সম্ভব নয়, শুল্কই ট্রাম্পের একমাত্র পররাষ্ট্রনীতি। তবে এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
গত ২৭ আগস্ট ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে। এর অর্ধেক ছিল মস্কো থেকে দিল্লির তেল কেনার জরিমানা আর বাকি অর্ধেক ছিল ট্রাম্পের বহুল আলোচিত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ, যার লক্ষ্য বাণিজ্যঘাটতি কমানো।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন