ছবি : সংগৃহীত
প্রায় প্রত্যেকে গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করেন। যাতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বা জীবাণু ধুয়ে যায়। তবে প্রতিদিন ত্বকে সাবান ব্যবহার করা ক্ষতিকর নাকি স্বাস্থ্যকর, কী বলছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা?
সাবান ব্যবহারে রয়েছে নানান উপকারিতা। যেমন-
সংক্রমণের হাত থেকে নিস্তার
প্রতিদিন নানা কাজের সূত্রে আমরা অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংস্পর্শে আসি। সাবান মাখলে এসব সংক্রমণের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।
ময়লা পরিষ্কার হয়
শুধু যে ত্বকের উপর ময়লা জমে থাকে তা নয়। এগুলো ত্বকের ছিদ্রের মধ্যেও জমতে থাকে। সেই ধুলাবালি পরিষ্কার করে দেয় সাবান।
প্রতিদিন সাবান মাখলে কী হতে পারে?
আরো পড়ুন : ঠান্ডা নাকি গরম সেঁক, ব্যথা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?
ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল
ত্বকের উপর প্রচুর মাইক্রোঅর্গ্যানিজম থাকে। এগুলো ত্বকের রোগ প্রতিরোধী স্তর নির্মাণ করে। বারবার সাবান মাখলে এই মাইক্রোঅর্গ্যানিজমগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত ত্বক আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় রোগ প্রতিরোধী অঙ্গ। এটি শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গকে রোগের হাত থেকে বাঁচায়।
ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ্ম
বারবার সাবান মাখলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ্ম হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ সাবানেই ক্ষার থাকে। সেগুলোতে কোনো ময়েশ্চারাইজার থাকে না। ফলে এমনটি ঘটে।
ত্বকের সংক্রমণ
ত্বকের মাইক্রোঅর্গ্যানিজম নষ্ট হয়ে গেলে, স্বাভাবিক তেল বা সিবাম কমে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ বেড়ে যায় বেশি সাবান মাখলে। তাই সাবান যেমন সংক্রমণ আটকায়। তেমনই বেশি ব্যবহার করলে সংক্রমণ ডেকে আনে।
তাহলে কী করবেন?
সাবান প্রতিদিন না মেখে একদিন পরপর মাখা ভালো। এতে ত্বকের সমস্য়া ততটা হবে না। তবে ত্বকে অতিরিক্ত ধুলাবালি লাগলে তখন সাবান মাখুন।
সাবান যদি মাখতেই হয়, তাহলে ময়েশ্চারাইজিং সোপ বা ক্ষারমুক্ত সাবান বেছে নিন। অথবা বডি ওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক রুক্ষ্ম বা শুষ্ক হবে না। আবার ত্বকের সমস্যাও বাড়বে না।
সূত্র: এবিপি নিউজ
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন