প্রতীকী ছবি
তুরস্কের এক নারী সম্প্রতি তার স্বামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত গোসল না করার অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছেন। ওই নারীর দাবি, তার স্বামী খুব কম গোসল করেন, তাই স্বামীর ঘামের দুর্গন্ধে তিনি অসহ্য হয়ে গেছেন। এছাড়াও তার স্বামী সপ্তাহে মাত্র এক বা দু'বার দাঁত ব্রাশ করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্বামীর নোংরা জীবনযাপনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ আঙ্কারার বাসিন্দা ওই নারী।
এই ধরনের জীবনযাপন না করার জন্য দিয়েছিলেন একাধিকবার পরামর্শ। কিন্তু তার কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি স্বামী। নোংরা জীবনযাপনের জন্য এরপরেই বিবাহ বিচ্ছেদের মনস্থির করেন ওই নারী।
সম্প্রতি স্বামীর নোংরা জীবনযাপনের অভিযোগ করে রাজধানী আঙ্কার একটি আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন স্ত্রী। পিটিশনে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন।
কয়েকদিন আগে সেই মামলার হয়েছিল শুনানি। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর নারীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক। নোংরা জীবনযাপনের জন্য ওই ব্যক্তিকে ১৬ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়। সেই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।
তুরস্কের মতো একই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের চন্ডৌস থানা এলাকায়। স্ত্রী নোংরা জীবনধারণের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছেন স্বামী। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। জানা গেছে, দু'বছর আগে আলিগড়ের কোয়ার্সি থানা এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল এক যুবকের। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতে দম্পতির মধ্যে শুরু হয় অশান্তি।
ওই যুবক আলিগড়ের একটি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী রোজ গোসল করেন না। গায়ে দুর্গন্ধ। তার জেরেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করেছিলেন স্ত্রী। তাকে হয়রানি করতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন