ছবি: সুখবর
উইঘুর মুসলমানদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে এবং ১৯৯৭ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি চীনা বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের স্মরণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ।
সোমবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে এই সংহতি প্রকাশ করা হয়।
এদিন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ লোক বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে উইঘুর মুসলমানদের উপর চীনা নৃশংসতা তুলে ধরে বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা চীনে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে উইঘুর মুসলিমদের উপর যে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয় সে সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে।
একইদিনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আজ বিকেল ৩টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঘুলজা গণহত্যার ২৭তম বার্ষিকী স্মরণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তার বক্তব্যে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর জনগোষ্ঠীকে ক্রমাগত নির্যাতন করার জন্য চীনের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের এই দিনে জিনজিয়াং প্রদেশের ঘুলজা শহরে কয়েকশ নিরীহ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করার পরও চীন থেমে থাকেনি, বরং ১০ লাখ মুসলমানকে বন্দী করেছে এবং তাদের অসংখ্য নারী ও শিশুকে নির্যাতন করে চলছে। চীন বর্তমানে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির সহায়তায় বাংলাদেশকে ঋণের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
সংগঠনটির সমন্বয়কারী মো. নূর আলম বলেন, বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন
সঙগঠনের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এইউজেড প্রিন্স, বাংলাদেশি মুসলমানদের তাদের নিজস্ব মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি চীনা আচরণের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে তাগিদ দিয়েছেন।
এছাড়াও ভাস্কর রাশা চীনের এই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, মাওলানা ও বুদ্ধিজীবীসহ প্রায় ৩০০ জন অংশগ্রহণ করেন।
এসকে/ এএম/
খবরটি শেয়ার করুন