ছবি : সংগৃহীত
বনের রাজা সিংহ হলেও বনে বাঘের দাপট সিংহের থেকে কোনো অংশে কম নয়। বিশ্বে কয়েক প্রজাতির বাঘ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকে শুরু করে সাইবেরিয়ান বাঘের নাম বিশ্ব বিখ্যাত। তবে বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের অস্তিত্ব সংকটে।
আজ (২৯শে জুলাই) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঁকি দেয়, প্রতি বছর কেন পালন করা হয় বিশ্ব বাঘ দিবস?
বিশ্বজুড়ে বাঘের বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা দিনের পর দিন কমছে। অনেক প্রজাতির বাঘ আজ লুপ্ত প্রায়। সব প্রজাতির বাঘকে অস্তিত্ব সঙ্কট থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস।
আরো পড়ুন : পাহাড়ি লটকনে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন
আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের ইতিহাস
১৯৭৩ সালে বাঘের সংখ্যা জানার জন্য প্রথম প্রকল্প চালু করা হয় ভারতে। ২০১০ সালে ১৩টি দেশে বিরল প্রজাতির বাঘ পাওয়া যায়। সেই সব দেশের বাঘের সংখ্যাকে ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার অঙ্গীকার করা হয়। ২০১৭ সালে IUCN মহাদেশীয় বাঘ এবং সুন্দরবন দ্বীপের বাঘকে বাঘের সেরা প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০২৪ সালে WWF বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
বাঘ দিবস পালন করার তাৎপর্য
বাঘ এমন একটি প্রাণী যেটি তৃণভূমি, তুষারময় বন, ম্যানগ্রোভ জলাভূমিসহ বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এত কঠিন অভিযোজন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ২০ শতকের শুরু থেকে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৯৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফের পরিসংখ্যান অনুসারে, সারা বিশ্বে বাঘের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ৩৯০০, যা সত্যি উদ্বেগের বিষয়।
বাঘ অন্য প্রাণীদের শিকার করে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যেভাবে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বন্য অঞ্চলের চোরাশিকারী এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের উৎপাতে বাঘের প্রাণ আজ বিপন্ন। এই সংকট থেকে বাঘকে রক্ষা করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই দিনটি পালন করা হয়।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন