কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা পরিবেশনের প্রতিবাদ করায় এক গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৮ই অক্টোবর) বনানী স্টার কাবাব শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এর আগে রোববার (৬ই অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বনানী শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকের ডান চোখ, হাত ও পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কপাল ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিনি। গুরুতর আহত অলককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি বানানী থানায় মামলা করেন।
বনানী থানায় দেওয়া লিখিত প্রতিশ্রুতিনামায় এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৬ই অক্টোবর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ও স্টার কাবাব পরিবার নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সার্ভিস ও খাবারের মান আরও উন্নত করবো।
প্রতিশ্রুতিনামায় স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, গ্রাহক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে আমরা প্রজোনীয় চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও তিনি তা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং ক্ষমার শর্তস্বরূপ ১ হাজার এতিমকে একবেলা বিনামূল্যে খাবার দিতে বলেন। আমরা তার শর্ত মেনে ১ হাজার এতিম শিশুকে আগামী ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে এতিমখানায় একবেলা উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
গ্রাহক, সাংবাদিক সমাজ ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক গণমাধ্যমকে জানান, স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় এবং আমি কোনো চিকিৎসা খরচ বা ক্ষতিপূরণ না নিয়ে আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ হাজার এতিম শিশুকে একবেলা খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাদের ক্ষমা করলাম।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে অলোক তার এক বন্ধুর সামনে পরিবেশন করা খাবারে গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার প্রত্যুত্তরে বলেন, জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়। এ কথা শুনে গ্রাহক প্রতিবাদ করলে আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন।
এতে ম্যানেজার কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন। স্টাফরা অলককে ধাক্কা দিতে দিতে দোতলা থেকে নিচতলায় নামান এবং নিচতলায় সিঁড়ির নিচে ফেলে মারধর করেন। এতে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মী হামলায় অংশ নেন। পরে আহত সাংবাদিক অলককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তিনি বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন