কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর ওপর চালানো ধর্ষণ ও ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলেছে, কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর ওপর চালানো ভয়াবহ ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনায় দেশে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, 'ঘটনাটি শুধু একটি ভয়াবহ অপরাধ নয়; বরং নারীর প্রতি উদ্দেশ্য প্রণোদিত আক্রমণ এবং বিদ্বেষের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, যা বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের মৌলিক ভিত্তিকে লঙ্ঘন করে।' এ ধরনের পাশবিক ও মধ্যযুগীয় বর্বরতা সভ্য সমাজে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'আসক মনে করে, এ অপরাধের পেছনে কেবল ব্যক্তি নয়, বরং সরকারের নির্লিপ্ততা ও দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে ব্যর্থতা কাজ করছে। একজন নারী তার নিজ ঘরে, নিজ পরিচয়ে সুরক্ষিত না থাকলে, তা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা ও নিরাপত্তাহীনতা নির্দেশ করে। অতীতে নারীদের ওপর হামলা, নিপীড়ন নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিলম্বিত বা অপরাধীদের রক্ষা করার যে প্রবণতা দেখা গেছে, এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা বলে বিবেচিত হতে পারে।'
এ ঘটনার যথাযথ ও দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে আসক। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিপূরণ, প্রয়োজনীয় আইনি, মানসিক ও স্বাস্থ্য সহায়তা অবিলম্বে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
খবরটি শেয়ার করুন