সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত
শিবরাত্রির দিনে ছাত্রাবাসে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ভারতের সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি। এ ঘটনায় মেস সেক্রেটারিকেও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশি ওই শিক্ষার্থীর নাম সুদীপ্ত দাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, প্রোক্টোরিয়াল তদন্তের পর বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ডক্টরাল প্রোগ্রামের ছাত্র সুদীপ্ত দাস গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। তার একাধিক শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কোনো কোর্সে আবেদন করার সুযোগ থেকে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
সুদীপ্ত দাসকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে পূর্বের একটি সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিন ছাত্রাবাসে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দুই ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (এসএফআই) এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) মধ্যে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সহিসংতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে।
এসএফআইয়ের দাবি, এবিভিপির সদস্যরা বাকিদের ওপর নিজেদের খাদ্যাভ্যাস চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনাকে ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এবিভিপির অভিযোগ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপবাসের দিনে ছাত্রাবাসে আমিষ খাওয়া অসংবেদনশীল আচরণ। এ আচরণ ধর্মীয় সহাবস্থানে বিঘ্ন ঘটায়।
এ ঘটনার পর আবারও দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ এবং ক্যাম্পাসে মতাদর্শগত মতপার্থক্য নিয়ে বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তারা কঠোর নজরদারি ও শৃঙ্খলা কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
খবরটি শেয়ার করুন