দিল্লি জামে মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি
ভারতের দিল্লি জামে মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘অবিচার ও হামলার’ নিন্দা করেছেন। সেইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে সৈয়দ আহমেদ বুখারি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কূটনীতি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং প্রভাবশালী মহল শেখ মুজিবুর রহমান, তার কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ এবং তাদের দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। মুসলিম বিশ্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি বলেন, “কয়েক মাস আগে এক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে এলে আওয়ামী লীগের মুসলিম ও অমুসলিম সমর্থকরা বিক্ষোভকারীদের টার্গেটে পরিণত হন। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ‘অবিচার, হামলা এবং একতরফা অ্যাকশন’ নিন্দনীয় এবং এটা অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ হতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
দিল্লি জামে মসজিদের শাহী ইমাম বলেন, “আমরা তাদের (বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বদা পাশে ছিলাম এবং লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও যত্নের অতুলনীয় ইতিহাস এই সবের সাক্ষী। আমরাই প্রথম তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি দুর্যোগের সময়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস তার আন্তর্জাতিক খ্যাতির প্রতি সুবিচার করে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো অবিচার বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। একটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে, ইসলাম এবং ইসলামি আইনশাস্ত্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের কুসংস্কার বা অবিচারের কোনও স্থান রাখে না।”
আই.কে.জে/