ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি সংগঠক, ন্যাশনাল ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ডঃ কাজী এম বদরুদ্দোজা পেয়ারার একটি জাত উদ্ভাবন করেন। যা তার নামানুসারে 'কাজী পেয়ারা' নামে নামকরণ করা হয়।
কৃষিক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।
আরো পড়ুন: রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ধানের বাইরে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দানাদার ফসল চাষ শুরুর ক্ষেত্রেও কাজী বদরুদ্দোজা নেতৃত্ব দেন। দেশে আধুনিক জাতের গম উদ্ভাবন ও চাষ শুরু করা আর ভুট্টার বাণিজ্যিক আবাদ তার হাত দিয়ে শুরু। ভুট্টা থেকে তেল উৎপাদন এবং তা পোলট্রি শিল্পের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরুর ধারণাটিও তার কাছ থেকে আসা।
ছত্রাকের গণ 'কাজিবোলেটাস' এর নামকরণও করা তার নাম থেকেই। কাজী পেয়ারার নাম শুনেনি এবং খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
কাজী এম বদরুদ্দোজার জন্ম বগুড়া জেলায়। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি তিনি মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস গাইবান্ধায়। ১৯৪২ সালে গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৪৪ সালে আইএসসি পাশ করেন রাজশাহী কলেজ থেকে। এক বছর পর ভর্তি হন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বেঙ্গল কৃষি ইনস্টিটিউটে (বর্তমান নাম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমএসসি সম্পন্ন করেন। এক বছর পিএইচডি করেন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কাজী এম বদরুদ্দোজার কর্মজীবন শুরু হয় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান রিসার্চ কাউন্সিলের অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে। পরে তিনি ধারাবাহিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তান রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক ও মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পাকিস্তান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের পদ ছেড়ে দেশে চলে আসেন। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণাগারের প্রথম পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। পরে তিনি একই ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারের সভাপতি ও বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
এসি/ আই. কে. জে/