ছবি: সংগৃহীত
ধার দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়ে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন ইনতাজ আলী ব্যাপারী নামের এক কাঠুরিয়া। ডিজিটাল ব্যানারে ছয় দেনাদারের নাম ও টাকার অঙ্ক লিখে সাঁটিয়ে দিয়েছেন। ব্যানারটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে নেটিজেনদের কেউ কেউ বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিলেও অনেকেই নেতিবাচক বলছেন।
ইনতাজ আলী ব্যাপারী নান্দাইলের (ময়মনসিংহ) আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গির চর এলাকার মৃত জুম্মন খানের ছেলে, তিনি কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইনতাজ আলী ব্যাপারীর বয়স বেশি হওয়াতে এখন আর আগের মতো কাজে যেতে পারেন না। গত পাঁচ বছর ধরে ছয়জনের কাছে ২৫ হাজার টাকা পাওনা থাকলেও তা আদায় করতে পারছেন না। বিষয়টি নান্দাইল মডেল থানায় জানালেও ফয়সালা হয়নি। রাগে-ক্ষোভে ডিজিটাল ৪ বাই ৫ ইঞ্চি ব্যানারে ছয়জনের নাম ও টাকার পরিমাণ লিখে বিভিন্ন জায়গায় টাঙিয়ে দেন।
ব্যানারে লেখা ‘ইনতাজ আলী পাওনাদার—দিলু ব্যাপারী ৬ হাজার টাকা, হুমায়ুন ব্যাপারী ২ হাজার ৬০০, সুজন ব্যাপারী ৭৫০, নজরুল ব্যাপারী ২ হাজার ৪০০, বারেক গাছের ব্যাপারী ১৩ হাজার ও রতন গাছ কাটে ২০০ টাকা।’ ব্যানারের নিচে লেখা রয়েছে—‘থানা থেকে অর্ডার, এই বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানানোর জন্য। যদি এই টাকা না দেন তাহলে থানায় মামলা হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে দেনাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। জানতে চাইলে ইনতাজ আলী ব্যাপারী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কত বাবা ভাই ডাইক্যা কইছি, তাও টেহা (টাকা) পাই না। মাইনসেরে জানাতে ও হেরারে (দেনাদার) শরম দিতে এই কাম করছি। তাও যদি টেহা না দেয়, তাইলে মাইক লইয়া বাইর হইয়াম।’
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এমন প্রচারণা করতে থানা থেকে বলা হয়নি। ইনতাজ আলী ব্যাপারী থানায় এসে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন