ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউভিএ) উদ্যোগে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য প্রাণীর স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং ভেটেরিনারিয়ান, টেকনিশিয়ান, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান।
আজ শনিবার (২৬শে এপ্রিল) সারাদেশে সেমিনার, প্রাণীর স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ক্যাম্প, টিকাদান-কর্মসূচি ও প্রাণীচিকিৎসকদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০৪ সালে ঢাকার সেন্ট্রাল ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রথম বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রাণীর স্বাস্থ্যরক্ষায় দলগত প্রচেষ্টা’। প্রতিবছর এ দিনে স্থানীয় প্রাণীচিকিৎসা সংস্থা, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা বিশ্বে মানুষের মধ্যে যেসব সংক্রামক রোগ এখন দেখা যাচ্ছে, তার ৬০ শতাংশ এসেছে বিভিন্ন প্রাণী বা পশুপাখি থেকে। এর জন্যই প্রয়োজন দলগত প্রচেষ্টা, যেখানে গবেষকেরা নতুন রোগ ও প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করবেন, টেকনিশিয়ানরা মাঠপর্যায়ে সেবা দেবেন এবং প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকেরা কার্যকর অবকাঠামো ও সংস্থান নিশ্চিত করবেন।
এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী ভেটেরিনারি চিকিৎসা ও প্রযুক্তির অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে এখনো প্রাণীর স্বাস্থ্যব্যবস্থায় রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা ও একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতা।
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস–২০২৫–এর প্রতিপাদ্য অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রাণীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নত করতে দলগত প্রচেষ্টা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান বৈশ্বিক ও স্থানীয় পটভূমিতে প্রাণীর স্বাস্থ্য কেবল প্রাণীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, জনস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাদ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।
আরএইচ/