ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি শুক্রবার (১০ই অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এটি তালেবান শীর্ষ নেতার ভারতে প্রথম সফর।
বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের উভয়ের লক্ষ্যই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি—তবে এই লক্ষ্য সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে বিপন্ন।’
তালেবান সরকারের কড়াকড়ি ইসলামী ব্যাখ্যা হয়তো হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের সঙ্গে আদর্শগতভাবে বেমানান মনে হতে পারে, কিন্তু ভারত এই পরিস্থিতিকে কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখছে। খবর এএফপির।
দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক সমীকরণ দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের পারস্পরিক অবিশ্বাসে পরিচালিত, যেখানে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যকার বিভাজনকে কাজে লাগাতে চায় নয়াদিল্লি। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ গত মে মাসে এক সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বিবেচিত হয়।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর আমাদের প্রতি কাবুলের সংহতি আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি।’ উক্ত হামলায় এপ্রিল মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই হিন্দু ছিলেন।
ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জয়শঙ্কর আরো বলেন, ‘ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি আপনার সংবেদনশীলতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
এর জবাবে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তান ভারতকে একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দেখে’, বিশেষত সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ভারত যে সহায়তা পাঠিয়েছে, সেটিকে ইঙ্গিত করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কোনো গোষ্ঠীকে কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে বা অন্য দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে আফগানের মাটি ব্যবহার করতে দেব না।'
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন