ছবি: সংগৃহীত
কম খরচে লাভ বেশি থাকায় শসা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। আগাম শীতকালীন সবজি হিসেবে কুড়িগ্রামে এ বছর বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শসা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল ও দাম ভালো থাকলে শসা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন শসা চাাষিরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা আগাম শীতকালীন সবজি চাষে অন্যান্য। সবজির পাশাপাশি ৩০২ হেক্টর জমিতে শসার চাষাবাদ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে জানায় কৃষি অফিস।
সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের চাষি মোঃ নুর ইসলাম বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি শসা চাষ করেছি। শসা চাষে ব্যয় হয়েছে বিঘা প্রতি মোট ১০-১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত মণপ্রতি ৪ হাজার দরে ২০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আর গাছের রোগব্যাধি না হলে আশা করছি ভালো লাভবান হবো।
আরও পড়ুন: মাল্টা চাষে সাড়া ফেলেছেন রাবি শিক্ষার্থী ফাহিম
আরেক কৃষক মোঃ রোস্তম আলী বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে শসা চাষাবাদ করেছি। শসা চাষের নিয়মিত পরিচর্যা ও ওষুধ প্রয়োগ করলে গাছে তেমন রোগবালাই ধরে না। তবে শসায় ছত্রাক/পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক ছিটিয়ে ক্ষেত ভালো রাখা যায়। বাজারে শসার চাহিদা ভালো। আশা করছি এ মৌসুমে ৫০-৬০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পারবো।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় ৩২০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি শসার চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব সময় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এ মৌসুমে শসা চাষিরা লাভবান হবে।
এসি/ আই.কে.জে