শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

বাংলাদেশের পণ্যের পরিবহন সুবিধার বিষয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪১ অপরাহ্ন, ৯ই এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা বাতিল করেছে ভারত। এর ফলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে স্থলপথে বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ আপাতত বাতিল হলো।

২০২০ সালের জুনে চালু করা এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারে রপ্তানিপণ্য ভারতের স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে পাঠানো হতো।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ই এপ্রিল) ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এ সুবিধা বাতিল করে আদেশ জারি করেছে। এর পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৯শে জুন দেওয়া এ–সংক্রান্ত আদেশও বাতিল করা হয়।

ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতের ওই আদেশে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ওই আদেশ অনুসারে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এখন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এ সুবিধা বাতিল করল।

এ আদেশে আরও বলা হয়েছে, যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলো দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে পারবে।

বর্তমানে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে পণ্য যায়। এখানে ট্রান্সশিপমেন্ট হলো, বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির সময় ভারতের ভূখণ্ড পাড়ি দিতে হয়। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল ও ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত পণ্যের যানবাহন (ট্রাক, টেইলর) পরিবর্তন করা হয়। এটিই ট্রান্সশিপমেন্ট। ভারত এখন এ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল।

ভারতের তৈরি পোশাক খাতসহ একাধিক রপ্তানিকারক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া এ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন ২০–৩০টি বাংলাদেশি ট্রাক দিল্লির এয়ার কার্গো কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে। ফলে ভারতের রপ্তানিপণ্য পরিবহনে ধীরগতি দেখা দেয়, বিমান পরিবহনে জায়গার সংকট তৈরি হয় এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়।

‘গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের’ (জিটিআরআই) প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব পিটিআইকে জানান, এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। 

তিনি বলেন, আগের ব্যবস্থায় ভারতে ট্রানজিট নিলে সময় ও খরচ উভয়ই কমত। এখন সেই সুযোগ না থাকায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য পণ্য পাঠাতে খরচ বৃদ্ধিসহ অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

এইচ.এস/


ভারত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন