রয়টার্সের পরিচয়পত্র ভেঙে ফেলেছেন ফটোসাংবাদিক ভ্যালেরি জিঙ্ক। ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলি প্রচারণাকে বৈধতা দিচ্ছে এবং সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে সাহায্য করছে—এমন অভিযোগ তুলে রয়টার্সের সঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন কানাডীয় ফটোসাংবাদিক ভ্যালেরি জিঙ্ক।
বুধবার (২৭শে আগস্ট) রাশিয়া টুডে জানিয়েছে, গত সোমবার (২৫শে আগস্ট) গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই জিঙ্ক নিজের ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও ছিলেন। নিহতদের মধ্যে রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হোসাম আল-মাসরিও ছিলেন।
জিঙ্ক অভিযোগ করেন, রয়টার্সসহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো যাচাই-বাছাই ছাড়াই ইসরায়েলের দাবিগুলো প্রচার করছে, যার ফলে সাংবাদিকরা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ‘রয়টার্স ইসরায়েলের অমূলক দাবি ছাপিয়েছে যে, আল-জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ছিলেন হামাসের সদস্য। অথচ কোনো প্রমাণই হাজির করা হয়নি।’
আনাস আল-শরীফ চলতি মাসের শুরুর দিকে গাজা সিটিতে তার পুরো টিমসহ নিহত হন। মৃত্যুর আগে ইসরায়েলি সেনারা তাকে হামাস কমান্ডার বলে দাবি করেছিল। অথচ তার কাজের জন্য রয়টার্স পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছিল। তবুও প্রতিষ্ঠানটি তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জিঙ্ক।
নিজ প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক নিহত হওয়ার পরও রয়টার্সের নীরবতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো ‘প্রচারযন্ত্রের মতো’ কাজ করছে—যাচাইহীন ইসরায়েলি দাবিকে সত্য হিসেবে প্রচার করে ইসরায়েলের পক্ষেই সাফাই গাইছে।
প্রেস স্বাধীনতা পর্যবেক্ষকদের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫ জনে।
খবরটি শেয়ার করুন