ছবি: সংগৃহীত
আসছে হ্যালোইন বা ভূত দিবস। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে স্পেনের অনেক অঞ্চলে উদযাপন হয় ‘অশুভ রীতিনীতি’। যেখানে অনেক সময় কালো রঙের বিড়াল সাজসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আর এই কারণেই স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাতালোনিয়ার তেরাসা শহর কর্তৃপক্ষ হ্যালোইন উৎসবকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ক্ষতি রোধে সাময়িকভাবে কালো বিড়াল দত্তক নেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় প্রাণীকল্যাণ বিভাগ বিবিসিকে জানিয়েছে, ৬ই অক্টোবর থেকে ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত কালো বিড়াল দত্তক বা লালন-পালনের জন্য করা সকল আবেদন স্থগিত থাকবে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো উৎসবের সময় বিড়ালগুলোর ক্ষতি বা এগুলোকে সাজসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার থেকে রক্ষা করা।
তেরাসার ডেপুটি মেয়র নোয়েল ডুকে স্পেনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিভিই-কে বলেন, হ্যালোইন ঘনিয়ে এলে সাধারণত কালো বিড়াল দত্তক নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
মেয়র আরো বলেন, ‘আমরা মানুষকে কালো বিড়াল দত্তক নেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি। কেননা এটি শুধু ফ্যাশনের জন্য নেওয়া। তাছাড়া এগুলোর উপর যাতে কোনো রকম অমানবিক কার্যকলাপ না হয়, সে ধরনের আশঙ্কা থেকেই এই ব্যবস্থা।’
পশ্চিমা সংস্কৃতিতে কালো বিড়ালকে প্রায়ই জাদুবিদ্যা ও অশুভ ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তবে জাপান ও মিশরসহ অনেক সংস্কৃতিতে এদের সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তেরাসা সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, শহরে কালো বিড়ালের ওপর নির্যাতনের কোনো রেকর্ড নেই। তবে অন্যান্য এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাণীকল্যাণ সংস্থাগুলোর সতর্কবার্তার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, তেরাসা শহরে বর্তমানে ৯ হাজার ৮০০ এর বেশি বিড়াল রয়েছে। এছাড়া, শহরের দত্তককেন্দ্রে প্রায় ১০০টি বিড়াল রয়েছে, যার মধ্যে ১২টি কালো বিড়াল।
দত্তক নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ব্যতিক্রমী আবেদন এলে সেটা পৃথকভাবে মূল্যায়ন করা হবে করা হবে। হ্যালোইন উৎসব শেষ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বিড়াল দত্তক ও লালন-পালনের আবেদন গ্রহণ পুনরায় চালু হবে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন