ছবি: সংগৃহীত
গত জুলাই–আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আগামী ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (২৩শে এপ্রিল) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৯ই এপিল ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ৯ই এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গত ২০শে এপ্রিল রিট করেন। পরদিন রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত আজ বুধবার (২৩শে এপ্রিল) শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী মো. জসিম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
এদিকে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন। রুলে গত ৯ই এপ্রিলের সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডিপ্রধান, এসবিপ্রধানসহ সাতজনকে।
আরএইচ/