ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (১৭ই আগস্ট) বলেছেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধের ইতি টানার দায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর। ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, জেলেনস্কি চাইলে ‘প্রায় এখনই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন, অথবা তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেন।’
আমেরিকার সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প লিখেছেন—‘মনে রাখুন, এটি কীভাবে শুরু হয়েছিল। (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক) ওবামার আমলে ক্রিমিয়াকে দিয়ে দেওয়া হলো (রাশিয়ার হাতে, ১২ বছর আগে কোনো রক্তপাত ছাড়াই) এবং ইউক্রেন কখনো ন্যাটোতে যাবে না।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্যগুলো ক্রেমলিনের দাবিকেই প্রতিফলিত করে। ক্রেমলিন ক্রিমিয়ার রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি করেছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর নিন্দার মুখে পড়ে। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ চালায়।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যার কয়েক ঘণ্টা পরই ওয়াশিংটনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এর আগে, গত ১৫ই আগস্ট ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে না পৌঁছালেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেছেন যে, বর্তমানে রাশিয়ার সেনারা যেখানে যেখানে যুদ্ধ করছে সেখানেই যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, যদি ইউক্রেন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল রাশিয়ার বলে মেনে নেয়।
ওয়াশিংটনে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ, তার মতে—এই অঞ্চল হারানোর ফলে ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অবস্থান থেকে বঞ্চিত হবে এবং মস্কোকে ইউক্রেনে আরও আক্রমণ চালানোর সুযোগ দেবে। বর্তমানে কিয়েভ দোনেৎস্কের প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, বাকি অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন