ছবিসূত্র : রয়টার্স
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ১০ জন শিশুর মৃত্যু সম্ভবত কোভিড-১৯ টিকার কারণে হয়েছে। এর মধ্যে মায়োকার্ডাইটিস বা হৃদরোগের প্রদাহকে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৮শে অক্টোবর) নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়। সূত্র : রয়টার্স।
মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র কোভিড ভ্যাকসিনের বিষয়ে সরকারি নীতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছেন।
নতুন নীতিতে এখন থেকে শুধুমাত্র ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের এবং যাদের গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে—শুধুমাত্র তাদেরই টিকা দেওয়া হবে।
কেনেডি দীর্ঘদিন ধরে টিকার বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্যপদে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আবারও টিকাকে অটিজমের সঙ্গে যুক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের টিকা নীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যখন করোনা মহামারি শুরু হয় এবং পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়েও মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এসব টিকাকে জীবনরক্ষাকারী হিসেবে জোরালোভাবে সমর্থন করেছিলেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নথি লিখেছেন এফডিএর প্রধান চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ভিনয় প্রসাদ। তবে নথিতে আক্রান্ত শিশুদের বয়স, তাদের স্বাস্থ্য অবস্থা বা কোন কম্পানির টিকা দেওয়া হয়েছিল—এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসাদকে উদ্ধৃত করে নথিতে বলা হয়েছে, তিনি এই আবিষ্কারকে ‘গুরুত্বপূর্ণ উদ্ঘাটন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সব ধরনের উপগোষ্ঠীর জন্য গবেষণা প্রয়োজনের কথা বলে তিনি ভ্যাকসিনের ওপর আরো কঠিন নজরদারির কথা বলেছেন।
টাইমস জানিয়েছে, নতুন এফডিএ পর্যালোচনার ফলাফলগুলো কোনো মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ভ্যাকসিন কমিটি আগামী সপ্তাহে এ ভিষয়ে বৈঠক করবে।
প্রসাদ একজন অনকোলজিস্ট। তিনি আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড টিকা ও মাস্কের বাধ্যতামূলক নীতির তীব্র সমালোচক ছিলেন। তিনি গত সেপ্টেম্বর এফডিএর প্রধান চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দায়িত্বে ফিরে আসেন।
এই পদে থেকে তিনি এফডিএ কমিশনার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জনস্বাস্থ্য ও নিয়ন্ত্রক বিজ্ঞান-সংক্রান্ত নতুন চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলোতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন