ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর শিগগিরই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস—এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শনিবার (১৮ই অক্টোবর) বলেছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে। হামলা হলে সেটা ‘যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন’ হবে বলেও জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষের ওপর এমন পরিকল্পিত হামলার ঘটনা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি ও গুরুতর লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। সেই সঙ্গে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এটি।
পররাষ্ট্র দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, হামাস যদি এমন হামলা চালায়, তবে গাজার মানুষকে রক্ষা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর প্রভাবই–বা কেমন হবে—সেসব নিয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে গাজায় বেসামরিক লোকজনকে হত্যার জন্য হামাসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘যদি হামাস গাজার লোকজনকে হত্যা করা অব্যাহত রাখে, যা চুক্তিতে ছিল না, তবে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ এ ক্ষেত্রে ‘আমাদের’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, সেটা পোস্টে স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের দাবি, এতে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় আড়াই শ মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়। জবাবে ওই দিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই বছরের হামলায় গাজায় নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৬৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলি বাহিনীর গাজায় অভিযান বন্ধ করার কথা। বিনিময়ে গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের (জীবিত ও মৃত) ছেড়ে দেবে হামাস।
খবরটি শেয়ার করুন