সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা

স্পোর্টস ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৩১ অপরাহ্ন, ১৮ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে লিয়ানাগের অপরাজিত ১০২ বলে ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে লড়াই করার মতো ২৩৫ (অলআউট) রানের পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩৬ রান।

আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচে শুরু এবং শেষ দিকে উইকেট নিতে পারলেও মাঝের ওভারে ব্যর্থ প্রয়োজনীয় উইকেট কিংবা ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পারেননি বোলাররা। তবে আজ রোববার (১৮ই মার্চ) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অলিখিত ফাইনালে মাঝের ওভারে তোপ দাগছেন মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনের স্পিন বিষে ১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। 

পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট নিয়ে শুরুতে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান তাসকিন আহমেদ। ড্রেসিংরুমে ফিরে হয়তো আক্ষেপে পুড়ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বল, তাসকিনের স্লটের ডেলিভারি হালকা ভেতরে ঢুকে এ লঙ্কান ওপেনারের প্যাডে লাগে, মনে হচ্ছিল বল স্টাম্প মিস করবে। তাসকিন-শান্তদের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে তর্জনী তুলে দেন আম্পায়ার। 

নিসাঙ্কাও ড্রেসিংরুমে উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলেন। তবে এ সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটার আভিষ্কা ফার্নান্দো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন রিভিউ নিতে। তিনি অবশ্য সেটি করেননি। বিপরীতে বাংলাদেশ পেল প্রথম সাফল্য। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, নিশাঙ্কার আউট হওয়া বল লেগ স্টাম্পও মিস করেছে। নিজের শেষ ৫ ওয়ানডে ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন নিশাঙ্কা। তাকে ১ রানে ফেরানোয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের চেহারায় ছিল স্বস্তির ছাপও। 

তাসকিন পরের ওভারে ফেরান আভিষ্কাকেও। পুরো সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেননি এ লঙ্কান ওপেনার। শর্ট লেংথের বল ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ল উইকেটকিপার মুশফিকের হাতে। ৪ রানে ফেরেন আভিষ্কা। 

আরও পড়ুন: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন। ১১তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বোলিং আক্রমণে এসে দারুণ এক ডেলিভারিতে ভাঙেন ২৬ রানের এ জুটি। সাদিরার (১৪) ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে মুশফিকের হাতে। 

ছন্দ হারানো মোস্তাফিজ বেশ কিছু ম্যাচেই দলের প্রয়োজনীয় উইকেট এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। তানজিম হাসান সাকিবের জায়গায় সুযোগ পেয়ে আজ নিজের প্রথম ওভারেই নিয়েছেন উইকেট। চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বড় করার চেষ্টা করেন মেন্ডিস। তবে রিশাদ হোসেন বোলিং আক্রমণে এসেই এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত ব্রেক-থ্রু। বাংলাদেশকে পেলে মেন্ডিসের ব্যাটও হয়ে যায় চড়া। এ ম্যাচেও থিতু হয়ে গিয়েছিলেন।

কিন্তু ১৮তম ওভারে রিশাদের করা প্রথম বল মেন্ডিসের ব্যাটে থেকে মুশফিকের হাতে যায়। আসালাঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি ভাঙে মেন্ডিসের। ৫১ বলে ২৯ রান আসে লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাট থেকে। রিশাদের প্রথম ওয়ানডে উইকেটও এটি। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। জানিত লিয়ানাগেকে সঙ্গে নিয়ে আসালাঙ্কা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ রানের একটি জুটিও গড়েন দুজনে। 

২৫তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসালাঙ্কা। ম্যাচে মুশফিকের এটি ছিল চতুর্থ ক্যাচ। ৪৬ বলে ৩৭ রান আসে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে। তাপর মেহেদী হাসান মিরাজ পরপর নিজের দুই ওভারে দুনিত ভেল্লালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরালে লঙ্কানরা বেশ চাপে পড়ে যায়। ভেল্লালাগে ১৮ বলে ১ আর হাসারাঙ্গা ফেরেন ১১ রানে।

এসকে/ 

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ

খবরটি শেয়ার করুন