ছবি-সংগৃহীত
উত্তম কুমার মানেই তো তখন জনঅরণ্য, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ‘স্টার’ উত্তমকে দেখতে হুড়োহুড়ি। কিন্তু ভোট মানে তো, আমজনতা থেকে তারকা, বুথের কোনো ভাগাভাগি নেই! তাহলে কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন মহানায়ক?
রুপালি পর্দার স্টাররা ঘন ঘন জনসমক্ষে এলে ক্রেইজ থাকে না! একথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন মহানায়ক। একবার সেজন্যই সহকর্মী তথা ভ্রাতৃপ্রতীম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে বকুনি দিয়েছিলেন, কেন তিনি পেট্রোল পাম্পে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। আসলে তাকেও খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কয়েকবার।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন সেই বিশেষ ব্যবস্থার কথা। গৌরব তাকে না দেখলেও পরিবারের সদস্যদের মুখেই শুনেছিলেন যে, মহানায়ক কখনো বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না। বরং বাড়ি থেকেই খামে ভরে তার ভোট জমা পড়ত। সরকারি কর্মীরা যেভাবে পোস্টার ব্যালটে ভোট দেন। সেভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন উত্তম কুমার।
আরো পড়ুন: আমি কারো ওপর হামলা চালাইনি : নায়ক রুবেল
পোর্ট ট্রাস্টের চাকরিজীবী হিসেবেই মহানায়ক এই বিশেষ সুবিধে পেতেন। তবে পরে অভিনয়ের জন্য সেই চাকরি ছেড়ে দিলেও তৎকালীন সরকার তার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিলেন। কারণ, বুথে উত্তম কুমারকে দেখলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেই বিশৃঙ্খলা রুখতেই উত্তম কুমারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিল সেইসময়ে ক্ষমতাসীন সরকার।
লোকসভার ভোটের মধ্যে সম্প্রতি টিভিনাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানান গৌরব চট্টোপাধ্যায়।
এসি/ আই.কে.জে/