শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা, কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা সরকারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০৮ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১০৪ বাংলাদেশি। তাদের আটকে রাখা হয় দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের একটি বাসায়। এ খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর নজরে আসে মালয়েশিয়া সরকারের। 

সরকার বলছে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণাকারী চেরাসের রিকোলার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এসডিএন বিএইচডির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম বলেছেন, চেরাসের যে কোম্পানিটি গত নভেম্বরে শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসেছিল, তারা তাদের চাকরি দেয়নি এবং তাদের উপযুক্ত থাকার জায়গা বা পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করেনি।

সাইফুদ্দিন ও সিম একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে উভয় মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে। নিয়োগদাতারা যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে তাদের অবশ্যই শ্রমিকদের যত্ন নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে তারা সরকারের আইন মান মেনে চলছে।

অভিবাসী শ্রমিকদের একটি অন্তর্বর্তী সুরক্ষা আদেশ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আনার আগে নথিভুক্ত করার জন্য পুত্রজায়া অভিবাসন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাইফুদ্দিন এবং সিম সম্মত হন যে, শ্রমিকদের পাসপোর্ট রাখার জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে নিয়োগকর্তাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদের বেতন দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর আওতায় আসতে হবে।

যথাযথ বাসস্থান সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তারা কর্মচারীদের ন্যূনতম মানদন্ডের আবাসন এবং সুযোগ-সুবিধা আইন ১৯৯০-এর অধীনে অভিযোগের মুখোমুখি হবে এবং ব্যক্তিদের পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী আইন (আটিপসম) ২০০৭-এর অধীনে তদন্ত করা হবে।

আরো পড়ুন: ‘আগামী সপ্তাহেই গাজায় আসবে যুদ্ধবিরতি’

বিদেশী কর্মীদের জন্য তাদের অবশিষ্ট কোটা এবং তাদের অনুমোদন পত্র বাতিল করা ছাড়াও, নিয়োগকর্তারা ভবিষ্যতে বিদেশি কর্মীদের জন্য আবেদন করা থেকে কালো তালিকাভুক্ত হবে।

রোববার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) এন্ডি হলের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০০ জনের বেশি শ্রমিকের জন্য একটি টয়লেট দেয়া হয়েছে এবং একটি কক্ষের মধ্যে গাদাগাদি করে তাদের থাকতে হচ্ছে। তাদের ভাত, ডাল ও আলু ভর্তা খাওয়ানো হচ্ছে। এক কর্মী দাবি করেছেন, কাজের অবস্থা জানতে চাওয়ার পর চার দিন তাকে খাবার দেয়া হয়নি।

এন্ডি হল বলছেন, প্রতিশ্রুত চাকরি পাওয়ার পরিবর্তে তাদের কোনো কাজ নেই এবং কোনো আয় নেই। এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে রয়েছেন ১০৪ জন বাংলাদেশি কর্মী।

সূত্র: ফ্রি-মালয়েশিয়া টুডে

এইচআ/ আই. কে. জে/ 


প্রতারণা বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়া সরকার

খবরটি শেয়ার করুন