ছবি: সংগৃহীত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ তদারকি করতে পাঁচটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চারজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে পাঁচটি কমিটি। প্রতিটি কমিটিতে ইসির সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সাতজন করে কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে। কমিটিগুলোর যে কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে, এর বেশিরভাগই তফসিল ঘোষণার পরবর্তী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
গতকাল বুধবার (৯ই জুলাই) ইসি আলাদা আলাদা পাঁচটি কমিটি গঠনের অফিস আদেশ জারি করেছে। এসব কমিটির মাধ্যমে ইসি ভোটের দায়িত্বে থাকা মাঠপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের তদারকি ও সমন্বয় করবে। নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা নিরূপণ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গঠিত ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কার্যক্রমও তদারকি করবে। নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ কার্যক্রমও মনিটরিং করা হবে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন সময় ইসি পাঁচটি কমিটি গঠন করল।
ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়বিষয়ক কমিটির প্রধান হচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য।
নির্বাচনে মাঠপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের কমিটি। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে প্রধান করে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিংসংক্রান্ত সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক সমন্বয় করতে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের কমিটি প্রবাসীদের ভোটাধিকার পদ্ধতি প্রণয়ন এবং এ কাজে বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
খবরটি শেয়ার করুন