ছবি : সংগৃহীত
মানব জীবনে দিন দিন ফেসবুক আসক্তি প্রকট বেড়েই চলেছে। এতে ব্যক্তি যেমন মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন, তেমনি স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য আনতে ফেসবুকের উপর নির্ভরশীলতা কমানো তাই জরুরি।
নিচে ফেসবুক আসক্তি কমানোর সহজ ১০ দশ পরামর্শ দেওয়া হলো :
নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন
ফেসবুকে কতক্ষণ সময় কাটাবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে সেই সময়ে শুধু ফেসবুক ব্যবহার করুন।
নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
ফেসবুকের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। নতুন আপডেট বা মেসেজ পেলে বারবার চেক করার প্রবণতা থাকে। নোটিফিকেশন বন্ধ রাখলে ফেসবুক ব্যবহার কমে আসবে।
বিকল্প কাজ খুঁজে নিন
ফেসবুকের পরিবর্তে কোনো প্রিয় বই পড়া, খেলাধুলা করা, অথবা নতুন স্কিল শেখার মতো কাজ খুঁজে নিন। এতে ফেসবুকের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
আরো পড়ুন : শীত আসার আগেই চুলে রুক্ষতা, করণীয় কী?
অ্যাপ আনইনস্টল করুন বা লিমিট সেট করুন
ফোনে ফেসবুক অ্যাপ থাকলে সেটি আনইনস্টল করুন অথবা স্ক্রিন টাইম লিমিট সেট করুন। এভাবে আপনি বারবার ঢুকতে পারবেন না, ফলে আসক্তি কমবে।
দিন শেষে অ্যাপ ব্যবহারের সময় দেখুন
প্রতিদিন ফেসবুকে কতক্ষণ কাটাচ্ছেন তা স্ক্রিন টাইম বা অ্যাপ ব্যবহারের সময় দেখে বুঝতে পারবেন। এই তথ্য আপনাকে সচেতন করবে এবং আসক্তি কমাতে সহায়তা করবে।
কাজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন
ফেসবুক ব্যবহারের আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, এটি আপনার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা। অপ্রয়োজনীয় সময়ে ফেসবুক ব্যবহারের পরিবর্তে নিজের দায়িত্বগুলোতে মনোযোগ দিন।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন
অফলাইনে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। এতে ফেসবুকে সময় কমিয়ে বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলোতে মনোযোগ দিতে পারবেন।
দৈনন্দিন লক্ষ্য তৈরি করুন
প্রতিদিন একটি লক্ষ্য তৈরি করুন যা ফেসবুক ব্যবহার ছাড়াই পূরণ করতে পারেন। এটি আপনাকে ব্যস্ত রাখবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করবে।
অপ্রয়োজনীয় পেজ এবং গ্রুপ আনফলো করুন
প্রয়োজনীয় পেজ এবং গ্রুপ ছাড়া বাকি সব আনফলো করুন। অনেক সময় অহেতুক পেজ এবং গ্রুপে থাকা ফিডে বেশি সময় কাটাতে প্ররোচিত করে।
রাতে ফোন দূরে রাখুন
ঘুমানোর সময় ফোন বা ল্যাপটপ দূরে রাখুন। এতে ফেসবুক স্ক্রল করার প্রবণতা কমে যাবে এবং সুস্থভাবে ঘুমাতে পারবেন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে ফেসবুক আসক্তি কমানো সহজ হবে এবং আপনি আরো কার্যকরভাবে সময় ব্যয় করতে পারবেন। নিজের লক্ষ্য ঠিক করে নিয়মিত চর্চা করলে ফেসবুকের উপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে আসবে।
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন