ছবি : সংগৃহীত
শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল প্রতিযোগিতায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোল এখন ৮৯৯টি। আর মাত্র এক গোল করতে পারলেই তার গোলের সংখ্যা হবে ৯০০। আপাতদৃষ্টিতে এই লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামবেন তিনি। তবে এখানেই থেমে যেতে চান না পর্তুগালের এই তারকা ফুটবলার। এই সংখ্যাকে ১০০০ তে নিতে চান আল নাসর তারকা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকারে ১০০০ গোল করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন রোনালদো। তার এই সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার রিও ফার্দিনান্ড। সেখানে দারুণ অকপটেই কথাগুলো বলেছিলেন তর্কযোগ্যভাবে বর্তমান ফুটবলের সেরা তারকা।
রোনালদোর বয়স এখন ৩৯। নিজের ইচ্ছে পূরণে আরও ২ বছর সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি। রোনালদোর আত্মবিশ্বাস, তার বয়স ৪১ এর কোটায় থাকতে অথবা এর কাছাকাছি থাকতেই ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবেন।
রোনালদো বলেন, ‘আমি ১ হাজার গোলের মাইলফলকে পৌঁছতে চাই। যদি আমার কোনো ইনজুরি না থাকে। কারণ এটি আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (বিষয়)। আমি চাই যে, আমার জন্য ফুটবলে সেরা মাইলফলক হলো প্রথমে ৯০০ গোল করা। আমার চ্যালেঞ্জ হলো ১০০০ গোল করা।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকতে রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন ফার্দিনান্ড। সাক্ষাৎকারে ফুটবলের উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেছেন দুই দল। সৌদি প্রো লিগে কেমন আবেগ নিয়ে খেলেন, সেসব বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে। সেখানে ছিল আত্মসমালোচনার মতো বিষয়গুলোও।
আরো পড়ুন : নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাপিয়ন বাংলাদেশ
সৌদিতে কিভাবে মানিয়ে নিলেন সেই প্রশ্নও করা হয় রোনালদোকে।
উত্তরে পর্তুগালের এই তারকা জানিয়েছেন, তার কাছে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা খুব কঠিন নয়। বরং তরুণ থাকতেই এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। যে কারণে এগুলো এখন স্বাভাবিকই লাগছে সিআরসেভেনের কাছে।
রোনালদো বলেন, ‘কোনো দেশই নিখুঁত নয়। তাই আমার জন্য মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা সহজ ছিল। আমি সত্যিই সেখানে থাকতে ভালোবাসি। আমার মতে, লিগ (প্রো লিগ) খুব খুব ভালো।’
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি মিস করে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রোনালদো। সে সময় তার কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। রোনালদোর মতো অভিজ্ঞ ও তারকা ফুটবলারকে এভাবে কান্না করতে দেখে অনেকেই সমালোচনা করেছেন।
সে প্রসঙ্গে রোনালদো বলেন, ‘আপনি যা করছেন তার প্রতি আবেগ থাকলে, আপনি কেমন অনুভব করছেন তা নিয়ে আপনি চিন্তিত হতে পারবেন না। আমি ব্যর্থ হয়েছি। কারণ আমি ১১ বছর বয়স থেকে নিজের উপর চাপ তৈরি করেছি। আমি সবসময় এভাবে ভাবি যে, ‘‘ক্রিশ্চিয়ানো, তুমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়’’। কিন্তু যখন আমি পেনাল্টি মিস করি, তখন আমার ভক্ত ও পরিবারের মতো আমারও খারাপ লাগে। লোকেরা কী বলবে তার জন্য এমনটি করি না।’
এস/কেবি