ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোম্যানের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন বিচার বিভাগ। তবে এফবিআই সেই তদন্ত এখন বন্ধ করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল (২১শে সেপ্টেম্বর) রোববার বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র জানায়, গত বছর এফবিআই–এর এক আন্ডারকভার এজেন্টের কাছ থেকে হোম্যান ৫০ হাজার ডলারের নগদ অর্থ নিয়েছিলেন। টাকা দেওয়া হয়েছিল একটি খাবারের দোকান চেইন কাভারযুক্ত ব্যাগে ভরে। বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেওয়ার পর ওই এজেন্টকে অভিবাসনসংক্রান্ত সরকারি চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হোম্যান।
সূত্রগুলোর একটি জানিয়েছে, এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল গত গ্রীষ্মে তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দেন। হোম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে কাশ প্যাটেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্ল্যাঞ্চ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিষয়টি আগের প্রশাসনের সময় শুরু হয়েছিল এবং এফবিআই এজেন্ট ও বিচার বিভাগের প্রসিকিউটররা পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা করেছিলেন। তারা কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাননি।’
তারা আরও বলেন, বিচার ‘বিভাগের রিসোর্সকে আমেরিকান জনগণের প্রকৃত হুমকির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, ভিত্তিহীন তদন্তে নয়। সেই কারণেই তদন্ত বন্ধ করা হয়েছে।’
হোম্যানকে ঘিরে তদন্ত শুরু হয় ২০২৪ সালের আগস্টে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষ দিকে। সূত্র জানায়, একটি ভিন্ন জাতীয় নিরাপত্তা তদন্তে টার্গেট ব্যক্তি বারবার হোম্যানের নাম উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, ভবিষ্যতের সরকারি চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য হোম্যান ঘুষ নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। এরপরই আন্ডারকভার স্টিং অপারেশন চালানো হয়।
স্টিং অপারেশনের রেকর্ডে ধরা পড়ে হোম্যান নগদ ঘুষ নিচ্ছেন। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসনে দায়িত্ব পালন শেষে টাকাটি একটি ট্রাস্ট থেকে ব্যবহার করবেন। হোম্যান বর্তমানে আমেরিকায় অবৈধভাবে থাকা ব্যক্তিদের গণহারে বহিষ্কারের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, কোনো সরকারি চুক্তি প্রদানে তিনি জড়িত নন।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেন, ‘তিনি একজন পেশাদার আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং আজীবন সরকারি সেবক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও দেশের জন্য তিনি অসাধারণ কাজ করছেন।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে হোম্যান আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মকর্তা ছিলেন এবং ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ট্রাম্প ক্ষমতার বাইরে থাকাকালে হোম্যান একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চালাতেন। এর মাধ্যমে তিনি কোম্পানিগুলোকে অভিবাসনসংক্রান্ত সরকারি চুক্তি পেতে সহায়তা করতেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন