ছবি : সংগৃহীত
অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদে আরও জোরেশোরে মাঠে নামতে চায় পেট্রোবাংলার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। কর্মকর্তারা বলছেন, আগে অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন অপসারণ করতে গেলে নানামুখী রাজনৈতিক বাধা আসতো, এখন আর সেটি আসবে না।
পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিতাস অনেকবার চেষ্টা করেও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং ঢাকার আশপাশের কিছু এলাকার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করতে পারেনি। এসব জায়গায় গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করতে গেলেই রাজনৈতিক বাধা আসতো। এখন আর সেটি আসবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় কোম্পানিগুলো।
সূত্র জানায়, জ্বালানি বিভাগের গত মাসের সমন্বয় সভায়ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। তাদের দিয়ে অবৈধ পাইপলাইন অপসারণের কাজ আরও জোরালো করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল।
নাম প্রকাশ না করে তিতাস গ্যাস কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, এমন অনেক জায়গাই রয়েছে, যেখানে তিতাস কোনো গ্যাসের লাইন দেয়নি। সেখানে একশ্রেণির মানুষ ব্যক্তিবিশেষের নাম ভাঙিয়ে গ্যাস সরবরাহ করছে। কিন্তু এতদিন এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জ্বালানি বিভাগের একটি প্রতিবেদন বলছে, ১লা জুলাই থেকে ৩০শে জুলাই পর্যন্ত ১০ হাজার ৭২২টি অবৈধ চুলার লাইন কাটা হয়েছে। আর এ সময়ে ২৩ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করা হয়েছে।
এক মাসের এই পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জে ৮ হাজার ৭৯৪টি চুলা অপসারণ করা হয়। এরপর গাজীপুরে এক হাজার ৭৯২টি এবং ঢাকায় ১৩৬টি চুলার লাইন অপসারণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে ২১ কিলোমিটার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি দুই কিলোমিটার লাইন গাজীপুরের।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আগেও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে নিয়মিত অভিযান চালিয়েছি। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, পুলিশ পুরোপুরি কাজ শুরু করেনি। সব স্বাভাবিক হয়ে এলে আমরা ব্যাপক হারে অভিযানে নামার চেষ্টা করবো।’
পেট্রোবাংলা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা নিলেও নানামুখী চাপ এবং বাধার কারণে সবসময় তা সফল হয়নি। তবে সরকার বদলের কারণে সফল অভিযানের আশা দেখছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আই.কে.জে/