ছবি: সংগৃহীত
কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার একদিন পর শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য তার আবেদন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কিয়েভ থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। খবর বাসসের।
শুক্রবার (১৪ই নভেম্বর) ইউক্রেনের রাজধানী জুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে আঘাত হানার পর তার সর্বশেষ এ মন্তব্য এসেছে।
প্রায় চার বছর ধরে রাশিয়ার হামলা চলছে, যুদ্ধ শেষ করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং চতুর্থ শীতকালীন যুদ্ধের আগে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার আশঙ্কা বাড়ছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় শনিবার (১৫ই নভেম্বর) তার দক্ষিণাঞ্চলে চারজন নিহত হয়েছে।
জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, ‘ইউক্রেনে জীবন বাঁচানোর জন্য সহায়তায় প্রয়োজন: আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আরও প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা এবং আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে আরও বেশি সংকল্প।’
এর আগে, কর্মকর্তারা বলেন, শুক্রবার কিয়েভে হামলায় একজন বয়স্ক নারী হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত জনে দাঁড়িয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন হলেন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একজন অপারেটরের স্ত্রী নাতালিয়া খোদেমঞ্চুক, যিনি ১৯৮৬ সালের পারমাণবিক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি বলেন, ‘প্রায় চার দশক পর, ক্রেমলিনের কারণে আবারও ঘটে যাওয়া এক নতুন ট্র্যাজেডিতে নাতালিয়া নিহত হন।’
হামলার অন্যান্য শিকারদের মধ্যে ৭০-এর দশকের এক দম্পতি এবং ৬২ বছর বয়সী একজন ছিলেন।
ইউক্রেন শনিবারও জানিয়েছে, তারা মস্কোর কাছে একটি রাশিয়ান তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে।ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, তারা মস্কোর কাছে রিয়াজান অঞ্চলে একটি শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে। বলা হয়েছে যে, এই হামলা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর ক্ষমতা হ্রাস করার প্রচেষ্টার অংশ।
২০২২ সাল থেকে ক্রেমলিনের হামলার সময় ইউক্রেন নিয়মিত রাশিয়ার অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রিয়াজানের গভর্নর পাভেল মালকভ বলেন রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাতে এই অঞ্চলে ২৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
মালকভ টেলিগ্রামে বলেন, ধ্বংসাবশেষ পড়ার ফলে একটি প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আগুন লেগে যায়, তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন