ছবি : সংগৃহীত
রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের নির্দেশে নড়েচড়ে বসেছেন মাঠের নেতারা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ নিয়ে ঘরে ঘরে ছুটছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (১লা জুন) বরিশালের গৌরনদী আগৈলঝাড়া এলাকায় এক হাজার পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার। এক হাজার পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল, নগদ অর্থ, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে ঢেউটিন বিতরণ করে সহায়তার হাত বাড়ানোয় খুশি এলাকাবাসী।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তালুকদার মিজান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে কেউ কোনো খোঁজ রাখেনি আমাদের। আজ এক বস্তা চাল, নগদ অর্থ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জন্য ঢেউটিন পেয়েছি। শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
সাহায্য নিতে আসা আরেক সুবিধাভোগী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘরের টিন উড়ে গেছে। বলরাম দাদা আজ ঢেউটিন, এক বস্তা চাল দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আশাকরি এবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। বলরাম দাদা ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
আরো পড়ুন : বেনজীরের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে সরকার অবগত নয় : কাদের
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরিশাল অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরইমধ্যে পটুয়াখালীতে সরজমিনে ঘুরে গেছেন। সাহায্য করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের। বঙ্গবন্ধুর কন্যার আদর্শ ছড়িয়ে দিতেই আমার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ভুক্তভোগী এক হাজার পরিবারকে সাহায্যের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলের কোনো নেতারাই বসে নেই উল্লেখ করে বলরাম পোদ্দার বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ সবার পাশে থাকে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬শে মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর বিভাগের ছয় জেলার ক্ষয়ক্ষতির তালিকা অনুযায়ী ৫ লাখ ২৮ হাজার পরিবারের প্রায় ২২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঝড়ে বরিশাল বিভাগে ১৩ জন মারা গেছেন। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৫৩১টি বসতঘর। আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭২ হাজার ১৬৩টি ঘর।
এস/ আই.কে.জে