মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম যে বক্তব্য গতকাল রোববার দিয়েছিলেন, তা গণমাধ্যমে ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে বলে দাবি করেছে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
আজ সোমবার (২৭শে অক্টোবর) চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার সই করা এ–সংক্রান্ত একটি নথি ট্রাইব্যুনালে কার্যরত সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। তার শিরোনাম ছিল—‘গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত)-এর ধারা ২০ (সি) সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রসিকিউশনের বক্তব্য’।
সেই নথিতে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘সেনা সদর দপ্তর আইন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তা কর্মরত: প্রসিকিউটর’ শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদনটির প্রতি ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে প্রসিকিউটর মোনাওয়ার হুসাইনের বক্তব্যকে ভুলভাবে উদ্ধৃত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যার ফলে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে যে আইনটি এখনো প্রয়োগ হয়নি বা সেনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর আইনের প্রয়োগ নির্ভর করছে, যা বাস্তবতা ও আইনের ভাষার পরিপন্থী।
গতকাল প্রসিকিউটর মোনাওয়ার হুসাইনের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। তবে এ ধরনের সংবাদ সুখবর ডটকমে প্রচার হয়নি।
খবরটি শেয়ার করুন