ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জনগণের অভিপ্রায় ও গণদাবিকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ই নভেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কার বিষয়ে যে ৪৮টি প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতিকে জানাতে হবে। ভোটাররা সেই বিষয়ে জানার পরই গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ মতামত দেবেন। কিন্তু একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে একজন ভোটারকে গণভোট দিতে হবে আবার প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটও দিতে হবে। এটা একটা সংকট তৈরি করবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে প্রতিটি নির্বাচনে কমবেশি কিছু ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলার কারণে ভোট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কারণে জাতীয় নির্বাচনের প্রতীকের ভোট বন্ধ হয়ে গেলে গণভোটের কী হবে, এর কোনো জবাব (সরকারের কাছে) নেই।
গণভোটে জনগণকে কিসে ‘হ্যাঁ’ আর কিসে ‘না’ বলতে হবে, সেটি নির্বাচনের আগেই জানতে হবে উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভোটারদের গণভোটের বিষয়ে স্টাডি করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে গণভোটের বিষয়ে বিস্তারিত ওয়েবসাইটে দিতে হবে। তারপর এই জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সুযোগ না দিয়ে দুটি ভোট একসঙ্গে দেওয়ার ঘোষণায় একটা সংকট তৈরি হলো।
এই সংকট নিরসনের জন্যই জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি করছে বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট হলে সনদের আইনি ভিত্তি দৃঢ় হবে। পরে আইনি ভিত্তি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। সেই সংকট এখনো রয়ে গেছে। সরকারকে এই সংকট নিরসনের আহ্বান জানান তিনি।
খবরটি শেয়ার করুন