শনিবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’ *** ‘জুমার পর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি’—মাইকিংয়ের পর ভুল স্বীকার সেই কদ্দুস মিয়ার *** ‘ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান, আঙুল বাঁকিয়ে কেন’ *** বাংলাদেশ সীমান্তে যে কারণে নতুন ৩ সামরিক ঘাঁটি বানাচ্ছে ভারত *** নির্বাচন হলে ক্ষমতা থাকবে ভারতের কাছে: ফরহাদ মজহার *** বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আসামে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে ভারত *** জাতীয় দলে যৌন হয়রানির অভিযোগ জাহানারার, তদন্ত চান ক্রিকেটারেরা *** নির্বাচনে খরচ করার মতো টাকা নেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের *** নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রব জেটেন *** ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা একটি দল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস

জাতীয় সংগীতে ভারতমাতাকে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী রূপে উল্লেখ নিয়ে আবারও বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৪ অপরাহ্ন, ৭ই নভেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে।  আজ শুক্রবার (৭ই নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করেছে। খবর এনডিটিভির।

১৮৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন ‘বন্দে মাতরম’ কবিতা। এটি পরবর্তীতে তার ‘আনন্দমঠ’ (১৮৮২) উপন্যাসে প্রকাশিত হয়। ছয় স্তবকের এই কবিতা একসময় ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে ওঠে।

কবিতাটিতে মাতৃভূমিকে এক দেবীরূপে কল্পনা করা হয়েছে—যিনি একই সঙ্গে স্নেহময়ী ও দুর্জয়। বঙ্কিমচন্দ্র শেষের স্তবকগুলোয় ভারতমাতাকে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী রূপে উল্লেখ করেছিলেন।

এদিকে ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস দলের একটি অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—জাতীয় অনুষ্ঠানে শুধু প্রথম দুটি স্তবক গাওয়া হবে। কারণ, বাকি স্তবকগুলোতে হিন্দু দেবীদের সরাসরি উল্লেখ কিছু মুসলিম প্রতিনিধির কাছে ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল।

সেই সময় দলের নেতা জওহরলাল নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠি লিখে জানান—পুরো কবিতাটি সুপাঠ্য হলেও এর কিছু অংশ মুসলিম সমাজে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। তাই আপাতত কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া উচিত বলে তিনি মত দেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকেই আজ বিজেপি ‘বিভাজনের বীজ বপন’ বলে সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, কংগ্রেস রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

অন্যদিকে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পাল্টা মন্তব্যে বলেছেন, ‘যারা আজ জাতীয়তাবাদের রক্ষক সেজেছে—আরএসএস ও বিজেপি—বন্দে মাতরম তারা কখনোই গায়নি।’

বিতর্ক আরও তীব্র হয় যখন নেহরু ও নেতাজির মধ্যে ১৯৩৭ সালে আদান-প্রদান হওয়া চিঠি প্রকাশ করে বিজেপি। সেই পত্রে নেহরু স্বীকার করেন, কিছু মুসলিমের আপত্তির ক্ষেত্রে যুক্তি থাকতে পারে।

প্রায় ৯০ বছর পর কংগ্রেসের সেই সিদ্ধান্ত ভারতের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশপ্রেম ও মুসলিম তোষণ ইস্যুতে ‘বন্দে মাতরম’ আবারও রাজনৈতিক তরবারি হয়ে উঠেছে।

জাতীয় সংগীত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250