হায়দরাবাদে সেই ভবন ও উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল। ছবি: এনডিটিভি
পরিত্যক্ত একটি নকিয়া মোবাইল ফোন সেটের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তার পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে গতকাল সোমবার (১৪ই জুলাই) এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, এই কঙ্কাল ১০ বছর আগে মারা যাওয়া আমির খানের। নমপল্লি এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটি মুনির খান নামের এক ব্যক্তির। বাড়ির ভেতর থেকে একটি পুরোনো নকিয়া মোবাইল ফোন এবং বাতিল করা পুরোনো মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মুনির খানের ১০ সন্তান। তার তৃতীয় ছেলে আমির একাই ওই বাড়িতে থাকতেন, অন্যরা অন্যত্র সরে যান অনেক আগেই। গতকাল এক ভিডিওর সূত্রে বিষয়টি সামনে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্রিকেট বল আনতে ওই বাড়িতে ঢুকে ভিডিওটি ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মানুষের কঙ্কাল উপুড় হয়ে রান্নাঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। আশপাশে বেশ কিছু রান্নার হাঁড়িপাতিল ও অন্যান্য সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এনডিটিভিকে স্থানীয় সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) কিষান কুমার বলেন, মোবাইল ফোনটির ব্যাটারি তখন ডেড অবস্থায় ছিল। তবে ফোনটির সূত্রেই মনে করা হচ্ছে এটি আমির খানের দেহাবশেষ। ফোনটি মেরামতের পর দেখা যায়, ২০১৫ সালে ৮৪টি মিসড কল রয়েছে ফোন লগে।
কিষান কুমার বলেন, ‘ওই ব্যক্তি সম্ভবত অবিবাহিত, বয়স আনুমানিক ৫০, মানসিকভাবে অস্থিরও থাকতে পারেন। তিনি কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন, এমনকি হাড়গুলোও ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছিল। আমরা কোনো রকম লড়াই বা রক্তপাতের চিহ্ন পাইনি। সম্ভবত স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তার।’
পুলিশের এই এসিপি আরও বলেন, ‘তার মৃত্যু ১০ বছর আগেই হয়ে থাকতে পারে। দেখা যাচ্ছে, তার কোনো ভাইবোন বা পরিচিত কেউ খোঁজ নেননি তার।’ তিনি আরও জানান, ফোন ছাড়াও একটি বালিশের নিচ থেকে বাতিল পুরোনো টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই নোটগুলো অবশ্য ২০১৬ সালের—‘নোটবন্দী বা ১০০০ রুপির নোট বাতিলের আইন’—আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল বলে আমাদের অনুমান। আমির খানের ছোট ভাই শাদাব কঙ্কালের পাশে পাওয়া একটি আংটির এবং একটি শর্টসের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন বলে জানান এসিপি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন