ছবি: সংগৃহীত
‘টাইম’ ম্যাগাজিনের সর্বশেষ প্রচ্ছদ নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের রেজল্যুট ডেস্কের পেছনে বসে আছেন, তার হাতে কফির পেয়ালা। এই প্রচ্ছদ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু চমক সৃষ্টির জন্য নয়, বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর মাস্কের ‘ক্রমবর্ধমান প্রভাবের’ ইঙ্গিত বহন করছে। সিএনএনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’র (ডিওজিই) প্রধান হিসেবে মাস্ককে যে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তার নীতি বাস্তবায়নের ফলে আমেরিকার লাখ লাখ সরকারি কর্মী চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
‘টাইমের’ প্রতিবেদনে সাংবাদিক সাইমন শুস্টার এবং ব্রায়ান বেনেট লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত মাস্ক শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জবাবদিহি করছেন। মাস্ককে সরকারি প্রশাসনের সংস্কারের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন ট্রাম্প।’ তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে সিএনএনের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইলন মাস্কও তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্সে’ বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, ‘টাইমের’ প্রচ্ছদে মাস্কের উপস্থিতি ট্রাম্পের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। কারণ, তিনি বরাবরই এই ম্যাগাজিনের কভার পেজকে ‘সম্মানের প্রতীক’ হিসেবে দেখেন। ২০২৪ সালে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প ইতোপূর্বে তার নিজের নামে ‘টাইমের’ জাল প্রচ্ছদ বানানোর জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।
‘টাইমের’ প্রচ্ছদে উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কোনো ব্যক্তিত্বকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদে আমেরিকার তৎকালীন প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে ‘দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যাননের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
হা.শা./কেবি