ছবি: সুখবর
পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠন করা হবে কি না- তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যেভাবেই হোক, এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম। সোমবার (৪ঠা নভেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের শান্তি রক্ষায় সীমান্তে যেন কোনো ছাড় দেয়া না হয় এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো অন্যায় আদেশ যেন পালন না করা হয় এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বিজিবিকে।
এদিকে পিলখানায় বিডিআর হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে পুনঃতদন্ত কমিশন হয়েছে কিনা তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিজিবিকে এক গুচ্ছ নির্দেশনা দেয়ার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সঙ্গে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবিকে যেহেতু বর্ডারভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারাদিনই গোলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেয়া হয়, খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা ঢুকতে পারে না। এরইমধ্যে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে, এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। তবুও কিছু ঢুকছে, আমি অস্বীকার করছি না। তবে তাদের পাঠিয়েও দেয়া হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
আই.কে.জে/