বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** একুশের বইমেলা ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু *** তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির কমিটি *** এস আলমকে নিয়ে গভর্নর বললেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ *** গোলাম আযম জাতির 'শ্রেষ্ঠ সন্তান' হলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান কোথায়—প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের *** শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ‘টানাপোড়েন আছে’— এটা বাস্তবতা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড *** অপারেটর করলেন ভুল, ক্যারি করলেন সেঞ্চুরি *** উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার বাংলাদেশি হুমকি সহ্য করা হবে না: আসামের মুখ্যমন্ত্রী *** আমাদের ‘নসিহত’ করা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে উপদেশ চাই না: তৌহিদ হোসেন *** ভারতে নারীর নিকাব বিতর্ক: মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন ইস্যুতে যে নীতিতে হাঁটতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫৮ অপরাহ্ন, ৬ই নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারণাগুলোতে অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন নীতি নিয়ে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ভোটে জিতলে তিনি মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটাবেন এবং আমেরিকাকে ফের সাশ্রয়ী করে তুলবেন। এ লক্ষ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ও শক্তি উৎপাদনকে আরও সম্প্রসারিত করবেন।  

একইসঙ্গে, জ্বালানি খরচ যেন কম আসে, সেজন্য আর্কটিক মরুভূমির মতো এলাকাগুলোতে নতুন তেলকূপ খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান ট্রাম্প।

ট্রাম্প কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন, সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের। আগেরবার ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালেও তিনি একই ধরনের একটি করনীতি নিয়েছিলেন, যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদশালীদেরই বেশি সুবিধা দিয়েছিল।  

ধারণা করা হচ্ছে যে, এবারও হয়তো সেরকমই কিছু ঘটবে। তিনি বলেছেন যে, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার বাড়াবেন।

অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প ব্যাপক প্রচারণা চালান। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, এবার সেটির কাজ শেষ করবেন বলে মার্কিন নাগরিকদের কথা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর তিনি আইন করে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান একলা চলো অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতার পক্ষে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রাখতে চান তিনি।

আরও পড়ুন: আমেরিকার নির্বাচনে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়লেন দুই মুসলিম নারী

তিনি জানান, রাশিয়ার সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানবেন। ডেমোক্রেটদের দাবি, এ পদক্ষেপ ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন কীভাবে, এ নিয়ে তাকে বিশেষ কিছু বলতে শোনা যায় না। ট্রাম্প এর আগে হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন পরিবেশ সুরক্ষার বহু উদ্যোগ প্রত্যাহার করে নেন। প্রত্যাহার করে নেওয়া তেমন উদ্যোগেরই একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ সীমিত রাখা।

এবারের প্রচারণায় নির্বাচিত হলে তিনি জ্বালানির জন্য উত্তর মেরুতে খনন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন এবং ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে কথা বলেন।

এসি/ আই.কে.জে/

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250