ছবি: সংগৃহীত
মসুর ডাল ও সার কেনার মাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বুধবার (২৮শে আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ৩৪৪ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে ওই সার কিনতে মোট ১২১ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে বাংলাদেশের বহুজাতিক সার কারখানা কাফকো থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। প্রতি টন ৩৩২.৭৫ ডলার দরে মোট খরচ হবে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত
তৃতীয় প্রস্তাবে কাতারের মুনতাজাত থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। প্রতি টন ৩৩৯.১৭ ডলার হিসেবে এতে মোট খরচ হচ্ছে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ৫০ কেজির বস্তার ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। এতে খরচ হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “সারের সরবরাহ আমরা কোনভাবেই কমতে দেবো না। আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা কিনবো।
"আজকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সার ক্রয় ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মসুর ডাল ক্রয়। আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এর জন্য যা অর্থকড়ি লাগে সেটা ফরেন কারেন্সিতে হোক, আমরা দেবো। এটা দ্রুতই করতে হবে।"
এসি/কেবি