শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ৩

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১৩ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (১৩ই মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন। খালাস পাওয়া আরেকজন মন্টু মন্ডল।

১৯৮৯ সালের ২৫শে জুলাই রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন সগিরা মোর্শেদ। 

মামলার নথি অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সারাহাত সালমাকে আনতে যান। যাওয়ার পথে তিনি স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। আত্মরক্ষায় একপর্যায়ে সগিরা মোর্শেদ দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ঘটনার দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত নারীর স্বামী সালাম চৌধুরী।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশাচালক জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। নেওয়া হয় সাত জনের সাক্ষ্য। বাদীপক্ষের সাক্ষ্যে আসামি মন্টু ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসানের নিকটাত্মীয় মারুফ রেজার নামও আসে। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মারুফ রেজার নাম আসায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। থমকে যায় মামলার কার্যক্রম।

বিষয়টি নজরে এলে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৬ জুন হাইকোর্ট মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশে এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে পিবিআই চার জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। একই বছরের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

ওআ/ আই. কে. জে/ 



আদালত

খবরটি শেয়ার করুন