ছবি: সংগৃহীত
বিআইডব্লিউটিসি’র কোটিপতি এক ইলেকটিশিয়ানের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। আলোচিত এই ইলেকট্রিশিয়ান এখন কোটি কোটি টাকার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ে যুক্ত। সম্প্রতি দুদকে প্রেরিত এক অভিযোগ থেকে এই তথ্য জানা যায়।
অভিযুক্তের নাম শীতল বিশ্বাস। তিনি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটস্থ বিআইডব্লিউটিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত।
দুদকে দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় হওয়ায় এবং পাটুরিয়া ঘাটে কর্মরত থাকায় ফেরি ও জাহাজের তেলচুরিসহ নানা অবৈধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন শীতল। ইতিপূর্বে একাধিকবার শীতল বিশ্বাসকে নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হলেও তার এক প্রভাবশালী মামার তৎপরতায় তিনি আবার একই অফিসে চলে আসেন।
জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তিনি একটি মারামারির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় বেশ কয়েকদিন তিনি জেলও খাটেন, এমনকি অফিস তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। তবে ওই প্রভাবশারী মামার তৎপরতায় তার জামিন হয় এবং আবার তিনি কাজে যোগদান করেন। এবার পাটুরিয়া অফিসে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও মাসে অন্তত দুইদিন তাকে হেড অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ছাত্রলীগের সংবর্ধনা পাবেন বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির
অভিযোগে আরো জানা যায়, অবৈধ নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে শীতল বিশ্বাস প্রচুর টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি এখন রীতিমত একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ি মৌজা, শিবালয় উপজেলার নয়াবাড়ি মৌজা, উথলী এবং পাটুরিয়া ঘাটের আশেপাশে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি প্লট।
আরিচা ঘাট এবং পাটুরিয়ায় ফেরীঘাট থাকার কারণে এই এলাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তিনি কম দামে জমি কিনে সামান্য ভরাট করে কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন। এখানেও তিনি গড়ে তুলেছেন প্রতারণার বাণিজ্য। বহু লোকের কাছ থেকে তিনি বাকিতে জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে চারগুণ দামে বিক্রি করেও জমিওয়ালার টাকা পরিশোধ করছেন না।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শীতল বিশ্বাস বলেন, আমি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নই। দুদকে প্রদত্ত অভিযোগের ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।
এইচআ/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন