ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব থেকে মো. নাজমুল করিম খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, গাজীপুরের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট দায়িত্ব অর্পণ করে ২রা সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) আপনাকে পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকায় রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
নাজমুল করিম খান জিএমপি কমিশনার পদে নিয়োগ পান গত বছরের ১১ই নভেম্বর। গত ১লা মে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) আওতাধীন এলাকায় অপরাধ বেড়েছে। এসব এলাকায় একের পর এক ছিনতাই হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় চলাচলে আতঙ্ক তৈরি হয়। চাঁদাবাজির ঘটনাও ঘটছে। অপহরণ ও ধর্ষণ বেড়েছে। খুন হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনেও গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক ওই প্রতিবেদনে শহরটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘খুবই খারাপ’ বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জিএমপিতে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়েছে। দিনের বেলায় এসব ঘটনা ঘটলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নীরব ভূমিকা পালন করছেন। তারা মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা আদায় করেন।
এ ছাড়া জিএমপি কমিশনার নাজমুল করিম খান প্রতিদিন ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে গাজীপুরে যাওয়ার সময় টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় উড়ালসড়ককে একমুখী করে দেওয়া হয়। এ সময় গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী লেন বন্ধ করা হয়।
আবার কমিশনার ঢাকায় ফেরার সময় একইভাবে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকার উড়ালসড়ক একমুখী করে দেওয়া হয়। তখন গাজীপুরমুখী চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ও পুলিশ সদর দপ্তরের ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এসব বিষয় নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ২৩শে আগস্ট ‘শিল্পের শহরে সন্ধ্যা হলেই আতঙ্ক, ১৯ জায়গা বেশি বিপজ্জনক’, ২৪শে আগস্ট ‘পুলিশ কমিশনার থাকেন ঢাকায়, রাস্তা বন্ধ করে ঢোকেন গাজীপুরে’ শিরোনামে এবং ২৫শে আগস্ট ‘২২ বস্তিতে মাদকের আখড়া, ভাগ যায় পুলিশের পকেটেও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খবরটি শেয়ার করুন