ছবি: সংগৃহীত
কী সময়েই না জুটিটা বেঁধেছিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের ইনিংসের বয়স তখন মাত্রই সাড়ে ১১ ওভার। এরই মধ্যে কিনা ২৬ রান তুলতে নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকেই কী প্রতিরোধই না গড়লেন লিটন ও মিরাজ। না, তারা খুঁটি গেড়ে বসে থাকেননি উইকেটে। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়েই গড়ে ফেললেন ১৬৫ রানের জুটি। মিরাজ খুররম শেহজাদকে ফিরতি ক্যাচ দিতেই ভাঙে জুটি। ততক্ষণে অবশ্য একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন লিটন-মিরাজ।
শনিবার (৩১শে আগস্ট) বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আর ৪ রান যোগ করতেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। সুবিধা করতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও। তাতে আজকের দিনে ১৬ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি লিটনের
এমন ধ্বংসস্তূপে ব্যাট করতে এসে প্রতিরোধ গড়েন লিটন ও মিরাজ। দুজনে মিলে দারুণ সব শট খেলেছেন। রান তুলেছেন দুজনে পাল্লা দিয়ে। সাবলীল ব্যাটিংয়ে সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা।
মিরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন লিটন-মিরাজ। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এটা।
এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল।
এসি/কেবি