ছবি: সংগৃহীত
গোপন বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যালে যুদ্ধ-পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। রাষ্ট্রীয় সফরে জ্যামাইকায় গিয়ে সিগন্যাল কেলেঙ্কারি নিয়ে গতকাল বুধবার (২৬শে মার্চ) সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। খবর রয়টার্সের।
তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, কেউ একজন বড় ভুল করেছেন এবং একজন সাংবাদিককে (সিগন্যালের গ্রুপ চ্যাটে) যুক্ত করেছেন। আমি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বলছি না, তবে আপনাদের ওই বিষয়ে কথা বলার কথা নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আরও বলেন, ‘সিগন্যালে দেওয়া তথ্য বাইরে প্রকাশের ইচ্ছা থেকে দেওয়া হয়নি। অবশ্য প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এসব তথ্যের কোনোটিই মার্কিন বাহিনীর সদস্যদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে না।’
ইয়েমেনের হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে সিগন্যাল অ্যাপে হওয়া আলাপের বিবরণ গতকাল প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক। গ্রুপ চ্যাটের তথ্য ফাঁস হওয়ার এ ঘটনায় বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
বিস্তারিত বিবরণ বের হওয়ার আগেই গত মঙ্গলবার (২৫শে মার্চ) থেকে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে শুনানি চলছে। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে।