শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট *** ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণা *** সরকারি জমিতে অবৈধ রেস্টুরেন্ট-মার্কেট, উচ্ছেদের দাবি স্থানীয়দের *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে বাধা দেখছেন না নজরুল ইসলাম খান *** আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য: প্রধান উপদেষ্টা *** শারীরিক অবস্থার উন্নতি, বাসায় ফিরলেন বদরুদ্দীন উমর *** আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন: জ্বালানি উপদেষ্টা *** রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেনা কর্মকর্তা, তদন্তে আদালত গঠন: আইএসপিআর

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল শিশু

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৬ অপরাহ্ন, ৩১শে জুলাই ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

আমেরিকার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে একটি পুত্রসন্তান। আশ্চর্যের বিষয় হলো—সদ্য জন্ম নেওয়া এই শিশুটির ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায় প্রায় ৩০ বছর ধরে সংরক্ষিত ছিল। খবর বিবিসির।

ধারণা করা হচ্ছে, এটাই সফলভাবে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমায়িত ভ্রূণ হিসেবে থাকার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯২ সালে হিমায়িত হওয়া একটি ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুরাই ছিল এই রেকর্ডের ধারক।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১শে জুলাই) বিবিসি জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে এবং ৩৪ বছর বয়সী টিম পিয়ার্স গত শনিবার তাদের সন্তান থ্যাডিউস ড্যানিয়েল পিয়ার্সকে জন্ম দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ’-কে লিন্ডসে বলেছেন, ‘আমার পরিবার ভাবছে এটা যেন কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমার ঘটনা!’

পিয়ার্স দম্পতি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শেষে তারা ১৯৯৪ সালে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি ভ্রূণ দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভ্রূণটি তৈরি করেছিলেন সেই সময়ের ৩১ বছর বয়সী লিন্ডা আর্চার্ড নামে এক নারী। বর্তমানে তার বয়স ৬২ বছর।

লিন্ডা সেই সময় মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন—এর একটি থেকে জন্ম নেয় তার বর্তমান ৩০ বছর বয়সী কন্যা, আর বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায়ই সংরক্ষিত ছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, এক সময় লিন্ডা ও তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তারপরও তিনি ওই তিনটি ভ্রূণ নষ্ট করতে বা গবেষণার জন্য দান করতে কিংবা অজানা কোনো দম্পতিকে দিতে চাননি। কারণ এই ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর সঙ্গে তার কন্যার রক্তের সম্পর্ক থাকবে—এমনটিই ছিল তার ভাবনা।

তবে ভ্রূণগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার ডলার ব্যয় করেছেন লিন্ডা। শেষ পর্যন্ত ‘নাইটলাইট’ নামে একটি খ্রিষ্টান ভ্রূণ দত্তক সংস্থার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এই সংস্থাটি ‘স্নোফ্ল্যাকস’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করে।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে কেউ যদি ভ্রূণ দান করতে চান, তবে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রহীতা পরিবার নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দাতা দম্পতি গ্রহীতা পরিবারের ধর্ম, জাতি এবং জাতীয়তার মতো বিষয়গুলোতে নিজেদের পছন্দ জানাতে পারেন।

লিন্ডা আর্চার্ড চেয়েছিলেন একজন বিবাহিত, খ্রিষ্টান, ককেশীয় দম্পতি, যারা আমেরিকায় থাকেন। এভাবেই শেষ পর্যন্ত তিনি যুক্ত হন পিয়ার্স দম্পতির সঙ্গে। পরে টেনেসি রাজ্যের ‘রিজয়েস ফার্টিলিটি’ ক্লিনিকে এই ভ্রূণ স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

ভ্রূণ দত্তক নেওয়া লিন্ডসে পিয়ার্স বলেন, ‘আমরা কোনো রেকর্ড ভাঙতে চাইনি। আমরা শুধু একটি সন্তান চাইছিলাম।’ দাতা লিন্ডা আর্চার্ড এখনো তার ‘ভ্রূণসন্তান’ থ্যাডিউসকে সরাসরি দেখেননি, তবে ধারণা করছেন, শিশুটির চেহারার সঙ্গে তার মেয়ের অনেক মিল রয়েছে।

জে.এস/

ভ্রূণ থেকে শিশুর জন্ম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন