রবিবার, ২০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ *** ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে গ্যাসক্ষেত্র থেকেই বছরে আয় করবে ৪০০ কোটি ডলার *** ফোন করে জামায়াতের আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

গোপালগঞ্জে সহিংসতা

নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত হলো না, বেড়েছে কারফিউর মেয়াদ

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ১১:০৯ অপরাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে গতকাল বুধবারের (১৬ই জুলাই) হামলা-সংঘাতের পর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত থাকলেও কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই সংঘাতের সময় গুলিতে নিহত চারজনের দাফন ও শেষকৃত্য বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই) সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই। বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হামলা চালান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘাত বাধে। এ সময় গুলিতে নিহত হন চার ব্যক্তি।

সংঘাতে নিহত চার ব্যক্তি হলেন শহরের কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের রাজমিস্ত্রি রমজান কাজী, শহরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকার মোবাইল পার্টস ব্যবসায়ী সোহেল রানা, শহরের উদয়ন রোডের পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার দোকান কর্মচারী ইমন তালুকদার। চারজনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

নিহত এই চারজনের কারোরই সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইমন তালুকদারকে আজ সকাল সাতটায় গেটপাড়া পৌর কবরস্থানে, একই সময় সোহেল মোল্লাকে টুঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে, রমজানকে বুধবার রাতে এশার নামাজের পর গেটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত করা হয়নি। এ ছাড়া অনেকেই আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশও নিহত ব্যক্তিদের সুরতহাল করেনি। হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।

নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত ২৫ জনের অধিক আটক হয়েছেন। ময়নাতদন্ত কেন করা হয়নি, জানতে চাইলে তিনি সরাসরি এর জবাব দেননি। বলেছেন, ‘বিষয়টি আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসব। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’

গোপালগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিহত চারজনের মরদেহ পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করতে না দিয়ে জেলা হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

গোপালগঞ্জ ময়নাতদন্ত গোপালগঞ্জে সহিংসতা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন