ছবি: সংগৃহীত
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীতে ধরা পড়লো সাড়ে ৬ কেজির পাঙাশ। স্থানীয় জেলে গোপাল মালোর জালে এটি ছাড়াও চার থেকে পাঁচ কেজি ওজনের আরও ৫টি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে।
সোমবার (২১শে অক্টোবর) ভোরে মাছগুলো ধরা পড়ে। মহম্মদপুর সদর বাজারে মাছ ব্যবসায়ী আক্কাচ বিশ্বাস ও অসীম মালো ৯০০ টাকা কেজি দরে পাঙাশগুলো বিক্রি করেছেন বলে জানান।
মধুমতি ঘাটের লোকজন ও জেলেরা গণমাধ্যমকে জানান, তিন দিন ধরে পদ্মার শাখা মধুমতি নদীর পানি কমতে শুরু করায় কিছু বড় মাছ ধরা পড়ছে। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে মধুমতিতে জাল ফেলেন গোপাল মালো। রাতে দুবার জাল তুলে তেমন মাছ পাননি। ভোরের দিকে জাল টেনে তোলার সময় গোপাল ও তার সঙ্গীরা বুঝতে পারেন, জালে বড় কোনো মাছ আটকা পড়েছে। জাল নৌকায় তোলার পর দেখতে পান বড় আকারের ছয়টি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে।
মাছগুলো বিক্রির জন্য তারা মহম্মদপুর সদর বাজারের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের আড়তে নিয়ে যান। ওজন দিয়ে দেখেন সবচেয়ে বড় মাছটির ওজন সাড়ে ৬ কেজি। বাকি ৫টির ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি। এ সময় নিলামে তুললে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আক্কাচ বিশ্বাস ও অসীম মালো ৮০০ টাকা ও ৬৫০ টাকা কেজিতে কিনে বিক্রির জন্য মহম্মদপুর সদর বাজারে নিয়ে যান। বড় পাঙাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। পরে ৯শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
মহম্মদপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এই মৌসুমে এখন পদ্মা নদী থেকে আসা মধুমতিতে মাঝে মধ্যেই বড় মাছ পাওয়া যাবে। মাঝে কিছুদিন পানি বাড়তে থাকায় মাছ অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছিল। বর্তমানে দুই-তিন দিন ধরে পানি কমতে থাকায় আবার বড় বড় পাঙাশ, বাগাইড় মাছ ধরা পড়ছে। তাই জেলের জালে ৬ টি বড় পাঙাশ ধরা পড়েছে।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন